নৌদুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটের আগুনমুখা নদীতে ফেরিসেবা চান উপজেলাবাসী। একমাত্র নৌপর্থ নির্ভর জনপদের মানুষের সময়ের এই দাবি তুলে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা সদরের বাহেরচর বাজারে মানববন্ধন করা হয়েছে।
‘আর কোন দাবি নাই, রাঙ্গাবালীতে ফেরি চাই’ স্লোগানে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, এ বছর ১০ মাসে সাতজন নৌদুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আর কোন মানুষের প্রাণহানি দেখতে চান না তারা। দুর্ঘটনা এড়াতে কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটে অনতিবিলম্বে ফেরিসেবা চালু করার দাবি জানান তারা।
সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপজেলা ছাত্রলীগ ও রাঙ্গাবালীবাসী নামক সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান উজ্জ্বল, বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিকান্দার হোসেন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী জাকারিয়া জাবের প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দুর্গম জনপদের মানুষের কথা বিবেচনা করে এখানে ফেরি চালু উপজেলাবাসীর সময়ের দাবি।
জানা গেছে, তিনদিকে নদী ও একদিকে সাগর বেষ্টিত এই জনপদের প্রায় দুই লক্ষ মানুষ একমাত্র নৌ-যোগাযোগ নির্ভর। এখান থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কিংবা জেলা শহরসহ দেশের যেকোন প্রান্তে যেতে স্পিডবোট, খেয়া ও লঞ্চে ভয়াল আগুনমুখা পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু দুর্যোগ মৌসুমে আগুনমুখা উত্তাল হয়ে ওঠে। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনেই তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌপথে যাতায়াত করতে হয়। আর সেই ঝুঁকি নিতে গিয়েই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টি যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে পুলিশ সদস্য ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচজন প্রাণ হারায়। এরআগে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি একই নৌরুটে দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে দুইজনের প্রাণহানি হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্র্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘নৌপথ নির্ভর রাঙ্গাবালীবাসীর জন্য ফেরি চালু খুবই প্রয়োজন।এতে একদিকে নৌপথ পারাপারে ঝুঁকি কমবে, অপরদিকে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোড়ালিয়া-পানপট্টি ফেরি চালুর জন্য ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব স্যার বরাবর চিঠি লিখেছি।